Wellcome to National Portal
জননিরাপত্তা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলি

স্বাগতম  
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র হিসেবে এ ওয়েবসাইট নাগরিকের সকল সংশ্লিষ্ট জিজ্ঞাসা, তথ্যপ্রাপ্তি, অধিকার ও আইনি সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এ সাইটের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আভ্যন্তরীন জনবল/অবকাঠামো, নাগরিকের প্রত্যাশা পূরণের সকল প্রযোজ্য উদ্যোগ এবং তথ্য সেবা দানে সচেষ্ট। নাগরিকের যোগাযোগ ও প্রত্যাশাপূরণে প্রদত্ত মূল্যবান মতামত এবং সুবিধা/অসুবিধার দিকে দৃষ্টি রেখে আমরা যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সদাসচেষ্ট।   

মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যাত্রা শুরু হয়। ২৬ মার্চ ১৯৭১ তারিখেই পাকিস্তানী বাহিনীকে প্রতিরোধ শুরু হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সংগঠন ও সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে এবং সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে।

যুদ্ধকালীন সময়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি এত ব্যাপক ছিল না। পাকিস্তান বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাটের কারনে সাধারণ মানুষেরা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে এবং সীমান্তের পাড়ে আশ্রয় নিতে থাকে। এ সময় ত্রাণ সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। সীমান্ত অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে এবং দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে পুলিশ প্রশাসন গঠন ও একে কার্যকরী করার উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের কাজকর্ম সম্পন্ন করা হত।

১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়; প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র: বাংলাদেশ। 

১৬ ডিসেম্বরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ঢাকায় সচিবালয় স্থানান্তর করা হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মধ্য দিয়েই মূলত এ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর একে একে নাগরিকের সকল প্রকার নিরাপত্তা বিধানের নিমিত্তে রাষ্ট্রপরিচালনার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের সৌষ্ঠবমন্ডিত অবকাঠামো গড়ে ওঠে।
বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবসম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা প্রদান, উদ্ধার অভিযান/তৎপরতা, অপরাধদমন, অপরাধী শনাক্তকরণ, জল ও স্থল সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান রোধ, প্রবাস ও অভিবাসন সম্পর্কিত নীতিমালা/চুক্তি প্রণয়ন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধ, মানবপাচার রোধ, ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম বৃহৎ মন্ত্রণালয় হিসেবে মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।

নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ, সুন্দর, সুখী ও শান্তিপূর্ণ আবাসভূমি নির্মাণের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরলস ও বদ্ধপরিকর।